প্রিয়তী পর্ব একঃ সমাজে পাগল হয়ে কে বাঁচতে চায়!
ফুলের উদ্দ্যেশ্য কি ! শুধু ফুটে ঘ্রাণ ছড়ানো নাকি সৌন্দর্য টাও প্রয়োজন আছে বাস্তু সংস্থানের ? পৃথিবীর সব প্রাণীর এতো সুন্দর ব্যবস্থাপনা কোথাও জট নেই, বিশৃঙ্খলা নেই, অথচ তারা বুদ্ধিতে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের কাছা কাছিও নেই । আমাদের প্রিয়তীর এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই । দিনে কয়েক বার সৃষ্টি কর্তাকে এ নিয়ে অভিযোগ না জানিয়ে প্রিয়তী বাড়ি ফেরেনা । প্রিয়তী পড়াশোনা শেষ করেছে , বয়স কম , একটা গার্মেন্টসের মানব সম্পদ বিভাগে কাজ করে বর্তমানে । ফ্যাক্টরির নিয়োগ সংক্রান্ত সকল বিষয় তাকেই দেখতে হয় । মোটামুটি এখানে সকল বিশৃঙ্খলায় অভ্যস্ত মানুষ গুলোকে কে ওর শৃঙ্খলায় ফেরাতে হয়। প্রিয়তী মাঝে মাঝে ভাবে, একটা জীবন ৭০ কি ৮০ বছরের, আরও কমও হতে পারে। মানুষের লক্ষ্য থাকা উচিৎ কি আর মানুষ করছে কি। মোটামুটি এক দুটি বাচ্চা আরও বয়স হলে নাতী নাতনী দের নিয়ে সুখের জীবন গড়া যায়। পৃথিবীতে এটাই একমাত্র সুখের এবং বিনোদনের। সংসার মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে ঠিক ই কিন্তু একাকিত্ব দূর করে দেয়। একাকিত্বের চেয়ে বড় শত্রু পৃথিবীতে মানুষের জন্য অন্য কিছুই নেই...